পবিত্র আল কোরআন তেলাওয়াত এর গুরুত্বপূর্ন আয়াত এর অর্থ সমূহ ২৭ তম পারা
আসুন, নিজেও কুরআনের অনুবাদ পড়ি এবং লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করার মাধ্যমে প্রিয়জনদেরও পড়ার সুযোগ করে দিই এবং অশেষ সাওয়াবের ভাগীদার হয়।
২৪তম রোজার রাতে (শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় শেষ দশকের একটি রাত) তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের ২৭তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।
২৭তম পারা (সুরা যারিয়া’ত এর ৩১নং আয়াত থেকে সুরা হাদীদের ২৯নং আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হল:-
•আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর। [ সুরা যারিয়া’ত-৪৯ ]
•আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি। [ সুরা যারিয়া’ত-৫৬ ]
•নিশ্চয় খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নেয়ামতে। তারা উপভোগ করবে যা তাদের পালনকর্তা তাদের দেবেন এবং তিনি জাহান্নামের আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা করবেন। তাদেরকে বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার প্রতিফলস্বরূপ তোমরা তৃপ্ত হয়ে পানাহার কর। তারা শ্রেণীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব।
যারা ঈমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামী হয়, আমি তাদেরকে তাদের সন্তান-সন্ততির সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের আমল বিন্দুমাত্রও হ্রাস করব না।
প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃত কর্মের জন্য দায়ী।
আমি তাদেরকে দেব ফল-মূল এবং মাংস যা তারা চাইবে।
সেখানে তারা একে অপরকে পানপাত্র দেবে; যাতে অসার বকাবকি নেই এবং পাপকর্মও নেই। সুরক্ষিত মুক্তাসদৃশ কিশোররা তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। [ সুরা তুর-১৭-২৪ ]
•আপনার পালনকর্তার নির্দেশের অপেক্ষায় সবর করুন। আপনি আমার দৃষ্টির সামনেই রয়েছেন এবং আপনি আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন যখন আপনি শয্যা ত্যাগ করেন। এবং রাত্রির কিছু অংশে এবং তারকা অস্ত গমনের পর তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন। [ সুরা তুর-৪৮,৪৯ ]
•যারা বড় বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য থেকে বেঁচে থাকে, ছোটখাট অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার ক্ষমা অপরিসীম। তিনি তোমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন; যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা থেকে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে ভ্রুণরুপে অবস্থান কর। অতএব তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। তিনি ভাল জানেন কে মুত্তাকী। [ সুরা নাজম-৩২ ]
•কোন ব্যক্তি অপরের গোনাহ বহন করবে না। এবং মানুষ তাই পায়, যা সে করে।[ সুরা নাজম-৩৮,৩৯ ]
•আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছে কি? [ সুরা ক্বামার-১৭ ]
•নিশ্চয়ই অপরাধীরা পথভ্রষ্ট ও বিকারগ্রস্ত। যেদিন তাদেরকে মুখ হিঁচড়ে টেনে নেয়া হবে জাহান্নামের দিকে; বলা হবেঃ জাহান্নামের আযাব আস্বাদন কর। [ সুরা ক্বামার-৪৭,৪৮ ]
•তাদের সমস্ত কার্যকলাপ আমলনামায় লিপিবদ্ধ আছে। ছোট ও বড় সবই লিপিবদ্ধ। [ সুরা ক্বামার-৫২,৫৩ ]
•তোমরা ওজনের ন্যায্য মান প্রতিষ্ঠিত কর এবং ওজনে কম দিয়ো না। [ সুরা আর-রহমান-৯ ]
•তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে। এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে? [ সুরা আর-রহমান-১৪-১৬ ]
•ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংসশীল। একমাত্র আপনার মহিমায় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া। [ সুরা আর-রহমান-২৬,২৭ ]
•এটাই জাহান্নাম, যাকে অপরাধীরা মিথ্যা বলত। তারা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মধ্যে ছুটোছুটি করবে। [ সুরা আর-রহমান-৪৩,৪৪ ]
•উত্তম কাজের প্রতিদান উত্তম পুরস্কার ব্যতীত আর কি হতে পারে? [ সুরা আর-রহমান-৬০ ]
•যখন কিয়ামতের ঘটনা ঘটবে, এটার সংঘটন অস্বীকার করার কেউ থাকবে না। এটা কেহকে করে দেবে নীচু, কেহকে করে দেবে সমুন্নত। যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী। এবং পর্বতমালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। অতঃপর তা হয়ে যাবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণা। [ সুরা ওয়াক্বিয়া-১-৬ ]
•যারা ডান দিকে থাকবে, কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল। তারা থাকবে এক উদ্যানে, যেখানে থাকবে কাঁটাবিহীন কুল বৃক্ষ। এবং কাঁদি কাঁদি কলায়, এবং দীর্ঘ ছায়ায় এবং প্রবাহিত পানিতে, ও প্রচুর ফল-মূলে, যা শেষ হবার নয় এবং নিষিদ্ধও নয়। আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়। আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।
অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী।সোহাগিনী, সমবয়স্কা। (এ সবই) ডান দিকের লোকদের জন্যে। [ সুরা ওয়াক্বিয়া-২৭-৩৮ ]
•বাম দিকের লোক, কত না হতভাগা বামদিকের দল। তারা থাকবে প্রখর বাষ্পে এবং উত্তপ্ত পানিতে, এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়। যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়।
তারাতো ইতিপূর্বে মগ্ন ছিল ভোগবিলাসে। এবং তারা সদাসর্বদা ঘোরতর পাপকর্মে ডুবে থাকত। তারা বলতঃ আমরা যখন মরে অস্থি ও মৃত্তিকায় পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি পুনরুত্থিত হব? এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণও! বলুনঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ,
সবাই একত্রিত হবে এক নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। অতঃপর হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যারোপকারীগণ। তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে, অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে, অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি। পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়। কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন। [ সুরা ওয়াক্বিয়া-৪১-৫৬ ]
•তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই ব্যপ্ত, তিনিই গুপ্ত এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক অবহিত। [ সুরা হাদীদ-৩ ]
•তোমরা যেখানেই থাক না কেন তিনি তোমাদের সাথেই আছেন । তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন। [ সুরা হাদীদ-৪ ]
•কে সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে উত্তম ধার দিবে? এরপর তিনি তার জন্যে তা বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন এবং তার জন্যে রয়েছে সম্মানিত পুরস্কার। [ সুরা হাদীদ-১১ ]
•নিশ্চয় দানশীল ব্যক্তি ও দানশীলা নারী, যারা আল্লাহকে উত্তমরূপে ধার দেয়, তাদেরকে দেয়া হবে বহুগুণ বেশী এবং তাদের জন্যে রয়েছে সম্মানজনক পুরস্কার। [ সুরা হাদীদ-১৮ ]
•মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি নিজে অনুগ্রহের দ্বিগুণ অংশ তোমাদেরকে দিবেন। তোমাদেরকে দিবেন জ্যোতি, যার সাহায্যে তোমরা চলবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। [ সুরা হাদীদ-২৮
pratidinpaper.com read all bdnewspaper the most highly trusted and reliable bangla newspaper - prothom Alo, bdnews24, bangladesh pratidin, jugantor, kaler kantho, samakal, ittefaq and more pratidin newspaper at a place
pratidin paper is for-
pratidin paper Bangla news paper online news tv link of all bangla newspaper. You can Contact US pratidin paper website for any help about ...
pratidinpaper.com read all pratidin newspaper here -
indian bengla newspaper | pratidin paper
English newspaper international news
No comments:
Post a Comment