তারাবীর নামাজে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এর অর্থ সংক্ষেপে ৮ম তারাবিহ
৮ম রোজার তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআন থেকে ১১তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।
১১তম পারা থেকে ( সুরা তাওবার ৯৪নং আয়াত থেকে সুরা হুদের ৫নং আয়াত পর্যন্ত) সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
•আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল; এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহে অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেনদেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হলো মহান সাফল্য।[ সুরা তাওবা-১১১ ]
•তারা তওবাকারী, এবাদতকারী, শোকরগোযার, (দুনিয়ার সাথে) সম্পর্কচ্ছেদকারী, রুকু ও সিজদা আদায়কারী, সৎকাজের আদেশ দানকারী ও মন্দ কাজ থেকে নিবৃতকারী এবং আল্লাহর দেওয়া সীমাসমূহের হেফাযতকারী। বস্তুতঃ সুসংবাদ দাও ঈমানদারদেরকে। [ সুরা তাওবা-১১২ ]
•নবী ও মুমিনের উচিত নয় মুশরেকদের মাগফেরাত কামনা করে, যদিও তারা আত্নীয় হোক; একথা সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে তারা দোযখী। [ সুরা তাওবা-১১৩ ]
•নিশ্চয় আল্লাহরই জন্য আসমানসমূহ ও যমীনের সাম্রাজ্য। তিনিই জিন্দা করেন ও মৃত্যু ঘটান; আর আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের জন্য কোন সহায়ও নেই, কোন সাহায্যকারীও নেই। [ সুরা তাওবা-১১৬ ]
•হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।[ সুরা তাওবা-১১৯ ]
•নিঃসন্দেহে আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের হক নষ্ট করেন না। [ সুরা তাওবা-১২০ ]
•তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসূল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়। [ সুরা তাওবা-১২৮ ]
• বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি। [ সুরা তাওবা-১২৯ ]
•নিশ্চয়ই তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, যিনি তৈরী করেছেন আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে, অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি কার্য পরিচালনা করেন। কেউ সুপারিশ করতে পাবে না তবে তাঁর অনুমতি ছাড়া; ইনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তোমরা তাঁরই এবাদত কর। তোমরা কি কিছুই চিন্তা কর না ? [ সুরা ইউনুস-৩ ]
•তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে তোমাদের সবাইকে; আল্লাহর ওয়াদা সত্য, তিনিই সৃষ্টি করেন প্রথমবার, আবার পুনর্বার তৈরী করবেন; তাদেরকে বদলা দেয়ার জন্য যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে ইনসাফের সাথে। আর যারা কাফের হয়েছে, তাদের পান করতে হবে ফুটন্ত পানি এবং ভোগ করতে হবে যন্ত্রনাদায়ক আযাব এ জন্যে যে, তারা কুফরী করছিল। [ সুরা ইউনুস-৪ ]
•তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ, সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে। [ সুরা ইউনুস-৫ ]
•নিশ্চয়ই রাত-দিনের পরিবর্তনের মাঝে এবং যা কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন আসমান ও যমীনে, সবই হল নিদর্শন সেসব লোকের জন্য যারা ভয় করে। [ সুরা ইউনুস-৬ ]
•অবশ্য তোমাদের পূর্বে বহু দলকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা জালেম হয়ে গেছে। অথচ রসূল তাদের কাছেও এসব বিষয়ের প্রকৃষ্ট নির্দেশ নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই তারা ঈমান আনল না। এমনিভাবে আমি শাস্তি দিয়ে থাকি পাপী সম্প্রদায়কে। [ সুরা ইউনুস-১৩ ]
•গায়েবের কথা আল্লাহই জানেন। [ সুরা ইউনুস-২০ ]
•আল্লাহ জুলুম করেন না মানুষের উপর, বরং মানুষ নিজেই নিজের উপর জুলুম করে। [ সুরা ইউনুস-৪৪ ]
•শুনে রাখ, যা কিছু রয়েছে আসমানসমূহে ও যমীনে সবই আল্লাহর। শুনে রাখ, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। তবে অনেকেই জানে না।[ সুরা ইউনুস-৫৫ ]
•তিনিই জীবন ও মরণ দান করেন এবং তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। [ সুরা ইউনুস-৫৬ ]
•বস্তুতঃ যে কোন অবস্থাতেই তুমি থাক, এবং কোরআনের যে কোন অংশ থেকেই পাঠ কর, কিংবা যে কোন কাজই তোমরা কর, অথচ আমি তোমাদের নিকটে উপস্থিত থাকি, যখন তোমরা তাতে আত্ননিয়োগ কর। আর তোমার পরওয়ারদেগার থেকে গোপন থাকে না একটি কণাও, না যমীনের এবং না আসমানের। না এর চেয়ে ক্ষুদ্র কোন কিছু আছে, না বড় -যা এই প্রকৃষ্ট কিতাবে নেই। [ সুরা ইউনুস-৬১ ]
•মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে। [ সুরা ইউনুস-৬২ ]
•আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসতো সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তী করবে ঈমান আনার জন্য? [ সুরা ইউনুস-৯৯ ]
•আর নির্দেশ হয়েছে- আল্লাহ ব্যতীত এমন কাউকে ডাকবে না, যে তোমার ভাল করবে না মন্দও করবে না। বস্তুতঃ তুমি যদি এমন কাজ কর, তাহলে তখন তুমিও জালেমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। [ সুরা ইউনুস-১০৬ ]
•আর আল্লাহ যদি তোমার উপর কোন কষ্ট আরোপ করেন তাহলে কেউ নেই তা খন্ডাবার মত তাঁকে ছাড়া। পক্ষান্তরে যদি তিনি কিছু কল্যাণ দান করেন, তবে তার মেহেরবানীকে রহিত করার মতও কেউ নেই। তিনি যার প্রতি অনুগ্রহ দান করতে চান স্বীয় বান্দাদের মধ্যে তাকেই দান করেন; বস্তুত তিনিই ক্ষমাশীল দয়ালু। [ সুরা ইউনুস-১০৭ ]
•আর তোমরা নিজেদের পালনকর্তা সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর। অনন্তর তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ কর। তাহলে তিনি তোমাদেরকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উৎকৃষ্ট জীবনোপকরণ দান করবেন এবং অধিক আমলকারীকে বেশী করে দেবেন; আর যদি তোমরা বিমুখ হতে থাক, তবে আমি তোমাদের উপর এক মহা দিবসের আযাবের আশঙ্কা করছি। [ সুরা হুদ-৩ ]
•আল্লাহর সান্নিধ্যেই তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। [ সুরা হুদ-৪ ]
•নিশ্চয় তিনি জানেন যা কিছু অন্তরসমূহে নিহিত রয়েছে। [ সুরা হুদ-৫ ]
আসুন, নিজেও কুরআনের অনুবাদ পড়ি এবং লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করার মাধ্যমে প্রিয়জনদেরও পড়ার সুযোগ করে দিই এবং অশেষ সাওয়াবের ভাগীদার হয়।
pratidinpaper.com read all bdnewspaper the most highly trusted and reliable bangla newspaper - prothom Alo, bdnews24, bangladesh pratidin, jugantor, kaler kantho, samakal, ittefaq and more pratidin newspaper at a place
pratidin paper is for-
pratidin paper Bangla news paper online news tv link of all bangla newspaper. You can Contact US pratidin paper website for any help about ...
pratidinpaper.com read all pratidin newspaper here -
indian bengla newspaper | pratidin paper
English newspaper international news
No comments:
Post a Comment