তারাবীর নামাজে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এর অর্থ সংক্ষেপে ৭ম তারাবিহ
৭ম রোজার তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআন থেকে ১০নং পারাটি তেলাওয়াত করা হবে।
১০নং পারা থেকে (সুরা আনফালের ৪১নং আয়াত থেকে সুরা তাওবার ৯৩নং আয়াত পর্যন্ত) সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-
•যারা ভরসা করে আল্লাহর উপর, সে নিশ্চিন্ত; কেননা আল্লাহ অতি পরাক্রমশীল, সুবিজ্ঞ। [ সুরা আনফাল-৪৯ ]
•আল্লাহ কখনও পরিবর্তন করেন না সে সব নেয়ামত, যা তিনি কোন জাতিকে দান করেছিলেন; যতক্ষণ না সে জাতি নিজেই পরিবর্তিত করে দেয় নিজের জন্য নির্ধারিত বিষয়। বস্তুতঃ আল্লাহ শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। [ সুরা আনফাল-৫৩ ]
•নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব তারাই- যারা কুফরী করে এবং অতঃপর আর ঈমান আনেনা। [ সুরা আনফাল-৫৫ ]
•যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না। [ সুরা আনফাল-৬০ ]
•হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু'শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে; তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। [ সুরা আনফাল-৬৫ ]
•তোমরা দুনিয়ার ক্ষনস্থায়ী সম্পদ কামনা করছ, অথচ আল্লাহ চান তোমাদের পরকালের কল্যাণ। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশালী হেকমতওয়ালা। [ সুরা আনফাল-৬৭ ]
•যারা ঈমান এনেছে, নিজেদের ঘর-বাড়ী ছেড়েছে এবং আল্লাহর রাহে জেহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য-সহায়তা করেছে, তাঁরা হলো প্রকৃত মুমিন। তাঁদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রুযী। [ সুরা আনফাল-৭৪ ]
•তোমরা কি মনে কর যে, তোমাদেরকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে, যতক্ষণ না আল্লাহ জেনে নেবেন তোমাদের কে যুদ্ধ করেছে এবং কে আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মুসলমানদের ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছে। আর তোমরা যা কর সে বিষয়ে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত। [ সুরা তাওবা-১৬ ]
•মুশরিকরা যোগ্যতা রাখে না আল্লাহর মসজিদ আবাদ করার, যখন তারা নিজেরাই নিজেদের কুফরীর স্বীকৃতি দিচ্ছে। এদের আমল বরবাদ হবে এবং এরা আগুনে স্থায়ীভাবে বসবাস করবে। [ সুরা তাওবা-১৭ ]
•নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত; আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না। অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে। [ সুরা তাওবা-১৮ ]
•হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালবাসে। আর তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা সীমালংঘনকারী। [ সুরা তাওবা-২৩ ]
•তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই, তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান যাকে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়; তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। [ সুরা তাওবা-২৪ ]
•তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে। [ সুরা তাওবা-৩২ ]
•যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। [ সুরা তাওবা-৩৪ ]
•সেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে; (সেদিন বলা হবে) এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে জমা করে রাখার স্বাদ গ্রহণ কর। [ সুরা তাওবা-৩৫ ]
•হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প। [ সুরা তাওবা-৩৮ ]
•যদি বের না হও, আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। [ সুরা তাওবা-৩৯ ]
•তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের সাথে এবং জেহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে, এটি তোমাদের জন্যে অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার। [ সুরা তাওবা-৪১ ]
•আল্লাহই আমাদের কার্যনির্বাহক। আল্লাহর উপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত। [ সুরা তাওবা-৫১ ]
•তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার তাদের জন্য তিনি (রসুল) রহমতবিশেষ। আর যারা আল্লাহর রসূলের প্রতি কুৎসা রটনা করে, তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। [ সুরা তাওবা-৬১ ]
•আল্লাহর সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে যে মোকাবেলা করে তার জন্যে নির্ধারিত রয়েছে দোযখ; তাতে সব সময় থাকবে। এটিই হল মহা-অপমান। [ সুরা তাওবা-৬৩ ]
•আর যদি তুমি তাদের কাছে জিজ্ঞেস কর, তবে তারা বলবে, আমরা তো কথার কথা বলছিলাম এবং কৌতুক করছিলাম। আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? [ সুরা তাওবা-৬৫ ]
•মুনাফেক নর-নারী সবারই গতিবিধি একরকম; শিক্ষা দেয় মন্দ কথা, ভাল কথা থেকে বারণ করে এবং নিজ মুঠো বন্ধ রাখে। আল্লাহকে ভুলে গেছে তারা, কাজেই তিনিও তাদের ভূলে গেছেন; নিঃসন্দেহে মুনাফেকরাই নাফরমান। [ সুরা তাওবা-৬৭ ]
•আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা'আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী। [ সুরা তাওবা-৭১ ]
•এরা যদি তওবা করে নেয়, তবে তাদের জন্য মঙ্গল। আর যদি তা না মানে, তবে আল্লাহ তাদেরকে আযাব দেবেন, বেদনাদায়ক আযাব দুনিয়া ও আখেরাতে। অতএব, বিশ্বচরাচরে তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী-সমর্থক নেই। [ সুরা তাওবা-৭৪ ]
•অতএব, তারা সামান্য হেসে নিক এবং তারা তাদের কৃতকর্মের বদলাতে অনেক বেশী কাঁদবে। [ সুরা তাওবা-৮২ ]
•আর তাদের মধ্য থেকে কারো মৃত্যু হলে তার উপর কখনও নামায পড়বেন না এবং তার কবরে দাঁড়াবেন না। তারা তো আল্লাহর প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে এবং রসূলের প্রতিও। বস্তুতঃ তারা নাফরমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। [ সুরা তাওবা-৮৪ ]
আসুন, নিজেও কুরআনের অনুবাদ পড়ি এবং লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করার মাধ্যমে প্রিয়জনদেরও পড়ার সুযোগ করে দিই এবং অশেষ সাওয়াবের ভাগীদার হয়।
pratidinpaper.com read all bdnewspaper the most highly trusted and reliable bangla newspaper - prothom Alo, bdnews24, bangladesh pratidin, jugantor, kaler kantho, samakal, ittefaq and more pratidin newspaper at a place
pratidin paper is for-
pratidin paper Bangla news paper online news tv link of all bangla newspaper. You can Contact US pratidin paper website for any help about ...
pratidinpaper.com read all pratidin newspaper here -
indian bengla newspaper | pratidin paper
English newspaper international news
No comments:
Post a Comment